অর্থোপেডিক ডাক্তার

একজন অর্থোপেডিক ডাক্তার হাড়ের সমস্যা নির্ণয় ও এর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবার কাজ করে থাকেন।

এক নজরে একজন অর্থোপেডিক ডাক্তার

সাধারণ পদবী: অর্থোপেডিক ডাক্তার, অর্থোপেডিস্ট
বিভাগ: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল-টাইম, চুক্তিভিত্তিক
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে অভিজ্ঞতা সীমা: ২ – ৪ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳২০,০০০ – ৳৭০,০০০
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স সীমা: ২৮ – ৩৫ বছর
মূল স্কিল: হাড়ের সমস্যা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত জ্ঞান, রোগীকে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারা, ঔষধ ও চিকিৎসা প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখা
বিশেষ স্কিল: সেবার মানসিকতা থাকা, যোগাযোগের দক্ষতা

একজন অর্থোপেডিক ডাক্তার কোথায় কাজ করেন?

  • সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল
  • সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র

একজন অর্থোপেডিক ডাক্তার কী ধরনের কাজ করেন?

  • হাড়ের সমস্যা নির্ণয়;
  • আহত ব্যক্তির ড্রেসিং করা বা করানো;
  • প্লাস্টার করা;
  • হাড়ের সমস্যার জন্য প্রয়োজনে সার্জারি করা;
  • হাড়ের সমস্যার রোগীকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া।

উল্লেখ্য যে, শরীরের নির্দিষ্ট কয়েকটি অংশের চিকিৎসা করতে হবে আপনাকে। যেমনঃ

  • ঘাড়
  • কাঁধ ও কনুই
  • পিঠ
  • হাত ও কব্জি
  • পা ও গোড়ালি
  • হাঁটু

একজন অর্থোপেডিক ডাক্তার কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

সাধারণত এমবিবিএস ডিগ্রি পাশ করলেই আপনি অর্থোপেডিক ডাক্তার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ার সাথে সাথে কাজের সুযোগ বাড়বে। এফসিপিএস, এমএস, এফআরসিএস অথবা ডি-অর্থো ডিগ্রি থাকলে প্রাধান্য পাবেন ও বিশেষজ্ঞ হিসাবে রোগীদের আস্থা অর্জন করা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।

একজন অর্থোপেডিক ডাক্তারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

  • অর্থোপেডিক্সের জ্ঞান;
  • অ্যান্টিবায়োটিক ও ড্রেসিং সম্পর্কিত জ্ঞান;
  • কৃত্রিম অঙ্গ, বায়োনিক অঙ্গ ও রোগীর পুনর্বাসন সম্পর্কিত সম্যক জ্ঞান;
  • ধৈর্য ও মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা;
  • যোগাযোগের দক্ষতা।

একজন অর্থোপেডিক ডাক্তারের মাসিক আয় কেমন?

বেসরকারি খাতে অর্থোপেডিক ডাক্তারের মাসিক সম্মানী বাংলাদেশে বেশ ভালো। সাধারণত অভিজ্ঞতা ছাড়া নিয়োগ পেলে মাসে ৳২০,০০০ টাকা থেকে ৳৭০,০০০ আয় করা সম্ভব। তবে প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে এ পরিমাণ আলাদা হয়।

অভিজ্ঞ ডাক্তারদের মাসিক সম্মানী শুরু হয় এক লাখ টাকা থেকে। কনসালট্যান্ট পদে নিযুক্তরা সাধারণত মাসিক দেড় থেকে দুই লাখ টাকা সম্মানী পেয়ে থাকেন।

সরকারি কর্মক্ষেত্রে মাসিক সম্মানী জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী নির্ধারিত। এক্ষেত্রে বেতন শুরু হবে ৯ম স্কেল বা ৳২২,০০০ থেকে।

আলাদাভাবে নিজের চেম্বারে রোগী দেখার ব্যবস্থা রাখলে আপনার মাসিক আয় বাড়বে।

একজন অর্থোপেডিক ডাক্তারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

বেসরকারি খাতে আপনার ক্যারিয়ার সাধারণত নিচের ধাপ অনুযায়ী হবার সম্ভাবনা বেশি –

  • জুনিয়র মেডিকেল সার্জন: সাধারণত কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তাররা নিয়োগ পান।
  • সিনিয়র মেডিকেল সার্জন: কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বা অর্থোপেডিক্সে উচ্চতর ডিগ্রিধারী হন।
  • রেজিস্ট্রার ডিগ্রি: ও অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ নিয়োগ।
  • অর্থোপেডিক কনসালট্যান্ট: ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ নিয়োগ।
  • অধ্যাপক: ডিগ্রি, অভিজ্ঞতা ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ নিয়োগ।

অর্থোপেডিক ডাক্তার হিসাবে সফল ক্যারিয়ার গড়তে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের কোন বিকল্প নেই।

সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে মেডিকেল অফিসার থেকে ক্যারিয়ার শুরু হয়ে প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধ্যাপক হবার সুযোগ রয়েছে।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা

শাইখ সিরাজ (এমবিবিএস, এমআরসিপি – পার্ট ১), প্রাক্তন অনারারি মেডিকেল অফিসার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জুলাই ২০১৭ – জানুয়ারি ২০১৮

Leave a Comment