ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট

পড়ালেখা, ভ্রমণ, পেশাগত ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সঠিকভাবে কাগজপত্র তৈরি করা। এ কাজে একজন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট মানুষকে সহযোগিতা করে থাকেন। বিশ্বায়নের যুগে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাবার উপলক্ষ ও সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় এ পেশার চাহিদাও বেড়েছে।

এক নজরে একজন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট

সাধারণ পদবী: ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট
বিভাগ: কনসালট্যান্সিভিত্তিক পেশা
প্রতিষ্ঠানের ধরন: প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি, ফ্রিল্যান্সিং
পেশার ধরন: ফুল-টাইম, পার্ট-টাইম
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে অভিজ্ঞতা সীমা: ০ – ২ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন সীমা: ৳২০,০০০ – কাজ, প্রতিষ্ঠান ও অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স সীমা: ২৪ বছর – কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ
মূল স্কিল: যোগাযোগের দক্ষতা, যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করতে পারা
বিশেষ স্কিল: সময় ব্যবস্থাপনা, ধৈর্যের সাথে কাজের চাপ সামলানো

একজন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট কোথায় কাজ করে থাকেন?

  • ট্রাভেল এজেন্সি
  • মাইগ্রেশন এজেন্সি
  • ওভারসীজ রিক্রুটিং এজেন্সি
  • স্টুডেন্ট রিক্রুটিং এজেন্সি

একজন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টের কাজ কী?

  • এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে আগ্রহী ক্লায়েন্টকে প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে তথ্য দেয়া
  • ক্লায়েন্টের জন্য দরকারি কাগজপত্র তৈরি করা
  • ইমিগ্রেশনের পুরো প্রক্রিয়ার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা ও ক্লায়েন্টকে জানানো
  • স্থায়ী মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টকে চাকরি ও পারিবারিক ভিসা সম্পর্কিত তথ্য দেয়া
  • কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টকে বিদেশে চাকরির সুযোগ সম্পর্কিত তথ্য দেয়া ও বাইরের এজেন্সিগুলোর সাথে যোগাযোগ করা
  • শিক্ষার্থীদের বেলায় ভিসার সাথে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সাহায্য করা
  • যেকোন সমস্যায় ক্লায়েন্টকে সহযোগিতা দেয়া

একজন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কনসালটেন্সি এজেন্সিগুলো সাধারণত যেকোন বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চেয়ে থাকে।

বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। সাধারণত আপনার বয়স কমপক্ষে ২২-২৪ বছর হতে হবে।

অভিজ্ঞতাঃ এ পেশায় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য রয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১-২ বছরের অভিজ্ঞতা চাকরির প্রধান শর্ত হয়ে থাকে।

একজন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

  • কম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করার দক্ষতা
  • ইংরেজি ভাষায় দক্ষভাবে যোগাযোগ করতে পারা
  • বিভিন্ন দেশের ইমিগ্রেশন আইন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা ও নিয়মিত খোঁজখবর নেয়া
  • নির্ভুলভাবে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি করতে পারা
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লায়েন্টের বিদেশ যাবার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দক্ষতা
  • বিভিন্ন ধরনের ক্লায়েন্টকে সহযোগিতা করার মানসিকতা ও ধৈর্য থাকা
  • ক্লায়েন্টের চাহিদা ও সমস্যা বুঝতে পারা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া

কোথায় শিখবেন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টের কাজ?

বহু মাইগ্রেশন এজেন্সিতে এন্ট্রি লেভেলের চাকরি নিয়ে কাজ শেখার সুযোগ রয়েছে আপনার জন্য। এছাড়া অনলাইন কোর্সও করতে পারেন। তবে চ্যালেঞ্জিং এ পেশায় কাজ করার জন্য প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করার দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে।

একজন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টের মাসিক আয় কেমন?

বাংলাদেশে ১-২ বছর অভিজ্ঞ কনসালট্যান্টের মাসিক আয় ৳১৮,০০০ – ৳২২,০০০ হাজার হয়ে থাকে। তবে সেলস কমিশন পেলে ও কাজের অভিজ্ঞতা বাড়লে আয় বেড়ে যায়।

একজন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

একজন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টের ক্যারিয়ার সুনির্দিষ্ট নয়। কোন এজেন্সিতে কয়েক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পদে উন্নীত হতে পারেন। অন্যদিকে ফ্রিল্যান্স কনসালট্যান্ট হিসাবেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে আপনার জন্য।

1 thought on “ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট”

  1. Dear.i would like to learn migration course.but Bangladesh hasnt proper course for people what i know.so.if you know where is the available course to become a immigration consultant just let me know.thanks
    kind regard
    mohiuddin
    01839927932
    chittagong
    bd

    Reply

Leave a Comment