ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও উপকরণ তৈরি করা, রক্ষণাবেক্ষণ, পরীক্ষা ও মেরামতের কাজ করেন।

এক নজরে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

সাধারণ পদবী: ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
বিভাগ: ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি
পেশার ধরন: ফুল-টাইম
লেভেল: এন্ট্রি, মিড, টপ
এন্ট্রি লেভেলে অভিজ্ঞতা সীমা: ০ – ২ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳৩০,০০০ – প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স সীমা: ২৫ – ৩০ বছর
মূল স্কিল: বৈদ্যুতিক যন্ত্র ও উপকরণ সম্পর্কিত জ্ঞান, গাণিতিক দক্ষতা
বিশেষ স্কিল: সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কোথায় কাজ করেন?

  • সরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, যেমনঃ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (Bangladesh Power Development Board)
  • কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র
  • টেলিকম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান
  • প্রতিরক্ষা বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কাজ কী?

  • বৈদ্যুতিক যন্ত্র ও উপকরণের নকশা বানানো
  • বৈদ্যুতিক যন্ত্র ও উপকরণ তৈরি করা
  • বৈদ্যুতিক যন্ত্র ও উপকরণের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা
  • বৈদ্যুতিক যন্ত্র ও উপকরণ রক্ষণাবেক্ষণ করা
  • ত্রুটিযুক্ত বৈদ্যুতিক যন্ত্র ও উপকরণ মেরামত করা

প্রতিষ্ঠানভেদেও আপনার দায়িত্ব আলাদা হতে পারে। যেমন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বিভাগে চাকরি করলে উচ্চক্ষমতার জেনারেটর নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আবার টেলিকম কোম্পানিতে থাকে টাওয়ার পরিদর্শনের কাজ।

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সাধারণত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক বা ডিপ্লোমা ডিগ্রি চাওয়া হয়।

বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। সাধারণত আপনার বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে।

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

টেকনিক্যাল জ্ঞানের মধ্যে রয়েছেঃ

  • পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কিত জ্ঞান (বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করার ক্ষেত্রে)
  • কমিউনিকেশনসের যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত জ্ঞান (টেলিকম কোম্পানিতে কাজ করার ক্ষেত্রে)
  • গাণিতিক দক্ষতা

নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো –

  • সৃজনশীল উপায়ে ও যৌক্তিকভাবে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
  • বিশ্লেষণী ক্ষমতা, যা খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে পারে
  • অন্যদের সাথে কাজ করার মানসিকতা থাকা
  • বিভিন্ন ধরনের কাজ একসাথে সামলানোর দক্ষতা
  • ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করার মানসিকতা থাকা

কোথায় পড়বেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং?

বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর বিএসসি ডিগ্রি নিতে পারেন। আবার ডিপ্লোমা কোর্সেও পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া বাংলাদেশে বহু সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে, যেখানকার বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু কারখানা ও শিল্পাঞ্চলে কাজ পেতে সাহায্য করবে।

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক আয় কেমন?

প্রতিষ্ঠানের ধরনসম্ভাব্য বেতন সীমা
সরকারি বিদ্যুৎ বিভাগ৳৩২,০০০
সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি৳৪০,০০০ – ৳৫০,০০০
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (যেমন, টেলিকম কোম্পানি)৳৩৫,০০০ – ৳৪০,০০০

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণত বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবেশন বা সংরক্ষণ বিভাগে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার শুরু হবে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত হওয়া সম্ভব।

শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহকারী প্রকৌশলী থেকে ম্যানেজার কিংবা জেনারেল ম্যানেজার, হেড অফ অপারেশনস পর্যন্ত হতে পারেন।

সামরিক বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে সরাসরি মেজর পদে নিয়োগ দেয়া হয়, যা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রধান মেজর জেনারেল পর্যন্ত পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব।

10 thoughts on “ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার”

  1. আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগলো।

    Reply

Leave a Comment