একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষকে সম্পৃক্ত করে থাকেন। সাধারণত বেসরকারি উন্নয়ন ও সামাজিক সংস্থাগুলোতে এ পদে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
এক নজরে একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসার
সাধারণ পদবী: কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারবিভাগ: এনজিও
প্রতিষ্ঠানের ধরন: বেসরকারি
ক্যারিয়ারের ধরন: চুক্তিভিত্তিক
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: ১ – ৪ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳৩০,০০০ – ৳৩৫,০০০
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স: ২৩ – ২৮ বছর
মূল স্কিল: বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, যোগাযোগের দক্ষতা
বিশেষ স্কিল: বিশ্লেষণী ক্ষমতা, রিপোর্টিংয়ের দক্ষতা, মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা, ধৈর্য
কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের পেশা সম্পর্কিত প্রশ্ন
- একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের কোথায় কাজ করেন?
- একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের কী ধরনের কাজ করেন?
- একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
- একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
- কোথায় পড়বেন একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসার হতে?
- একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের মাসিক আয় কেমন?
- একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসার কোথায় কাজ করেন?
- বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা
- আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা
- উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
- নাগরিক অধিকার ও আইন বিষয়ক সংস্থা
একেক প্রতিষ্ঠান একেক ইস্যু ও বিষয়ে মানুষদের সরাসরি সম্পৃক্ত করতে চায়। যেমন, কিছু প্রতিষ্ঠান হয়তো শুধু কৃষকদের নিয়ে কাজ করে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে অভিবাসী বা উদ্বাস্তুদের নিয়ে। এসব ক্ষেত্রে কৃষক কিংবা উদ্বাস্তুদের সাথে সংযোগ স্থাপনের কাজ করেন একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসার।
একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসার কী ধরনের কাজ করেন?
- মাঠ পর্যায়ের মানুষকে নির্ধারিত ইস্যু ও কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা করা;
- প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজের তত্ত্বাবধান করা;
- গবেষণার জন্য মাঠ পর্যায়ের মানুষদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা;
- আলাপ-আলোচনা থেকে নির্ধারিত ইস্যুতে যেসব সমস্যার কথা উঠে আসে, সেগুলোর সম্ভাব্য সমাধান দাঁড় করানো;
- মাঠ পর্যায়ের মানুষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা;
- প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আয়োজিত কর্মসূচিতে মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা;
- কাজের অগ্রগতির উপর রিপোর্ট তৈরি করা।
একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বিষয়টি প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ। সাধারণত মানবিক অথবা সামাজিক বিজ্ঞান কিংবা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা নিয়োগের বেলায় প্রাধান্য পেয়ে থাকেন। কিছু ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক ডিগ্রি থাকা আবশ্যক।
বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়।
অভিজ্ঞতাঃ কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসার হিসেবে কাজ করতে চাইলে সাধারণত পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। বড় প্রজেক্টের বেলায় ৪ – ৬ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হতে পারে।
বিশেষ শর্তঃ মাঠ পর্যায়ের এ কাজে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করতে হয় বলে বহু ক্ষেত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পুরুষ প্রার্থীর কথা উল্লেখ করা হয়।
একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
- বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে যোগাযোগের দক্ষতা;
- দলগত আলোচনা পরিচালনা করার দক্ষতা;
- যেকোন পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেবার ক্ষমতা;
- ধৈর্যের সাথে কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা;
- ইতিবাচক মনোভাব থাকা।
বর্তমানে সব প্রতিষ্ঠানে রিপোর্টিংয়ের কাজ থাকে বিধায় আপনাকে মাইক্রোসফট অফিস নিয়ে কাজ করা জানতে হবে। এছাড়া বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি আঞ্চলিক ভাষায় দক্ষতা থাকলে অগ্রাধিকার পাবেন।
কোথায় পড়বেন একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসার হতে?
আপনি যে খাতে কাজ করতে চান, সে খাতের উপর ন্যূনতম ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকা প্রয়োজন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিচের বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে –
- সমাজকর্ম ও সমাজকল্যাণ
- অর্থনীতি
- আইন
- শান্তি ও সংঘর্ষ
- গণস্বাস্থ্য বা পাবলিক হেলথ
- ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ
- জেন্ডার স্টাডিজ
- পরিবেশবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের মাসিক আয় কেমন?
বিষয়টি কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ। সাধারণত একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের মাসিক আয় ৳৩০,০০০ – ৳৬০,০০০ পর্যন্ত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে।
একজন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
বিষয়টি কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ। সাধারণত কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসারের কাজের ক্ষেত্র দুই ধরনের হয় – চুক্তিভিত্তিক ও স্থায়ী।
বেশিরভাগ সময় চুক্তিভিত্তিক কাজ থাকে। তবে বড় সামাজিক ইস্যুর ক্ষেত্রে স্থায়ী ভিত্তিতেও নিয়োগ পেতে পারেন। অভিজ্ঞতা অর্জনের পর এ পদ থেকে আপনি প্রোগ্রাম অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার পদে পদোন্নতি পেতে পারেন। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ধাপে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে কাজের সুযোগ রয়েছে।
কেন নেবেন ক্যারিয়ার টেস্ট?
- সরাসরি ইন্টারভিউর কল পেতে
- সরাসরি চাকরির পরীক্ষা দিতে
- চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে
- চাকরির জন্য দরকারি স্কিল অর্জন করতে