ফ্রিল্যান্সিংয়ে কী কী কাজ করা যায়?

ভালো আয়ের সুযোগ আর কাজের স্বাধীনতা থাকায় বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বেশ জনপ্রিয়। দিন দিন এক্ষেত্রে কাজের পরিসরও বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কী কী কাজ করা যায়, সে সম্পর্কে এবারের লেখা। আপনার অভিজ্ঞতা থাকুক বা না থাকুক, নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দের ফিল্ডে কাজ বাছাই করে নিতে পারেন।

লেখালেখি

ক্লায়েন্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখির সুযোগ রয়েছে আপনার জন্য। যেমনঃ

  • ব্লগিং বা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নির্দিষ্ট শব্দসংখ্যার পোস্ট
  • ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য কপি
  • সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
  • ব্যবসায়িক রিপোর্ট
  • খবর

যেহেতু ক্লায়েন্টের জন্য লিখে দিচ্ছেন, সেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনার লেখার জন্য কোন ক্রেডিট পাবেন না।

এডিটিং ও প্রুফ রিডিং

আপনি যদি শব্দ আর বানানসহ ব্যাকরণের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে ভালোভাবে জেনে থাকেন, তাহলে এডিটিং আর প্রুফ রিডিংয়ের কাজ নিতে পারেন।

ট্রান্সক্রিপশন

সাধারণত বিশেষ কিছু ফিল্ডে এর ব্যবহার রয়েছে। যেমনঃ আইনি গবেষণা। এ কাজে আপনাকে অডিও ক্লিপ শুনতে হবে আর তার বক্তব্যকে একটি ডকুমেন্টে রেকর্ড করতে হবে। তাই নির্ভুলভাবে ভাষা বোঝার দক্ষতা আর ভালো টাইপিং স্পিড থাকা জরুরি।

ডাটা এন্ট্রি

বারবার বিভিন্ন বর্ণ আর সংখ্যা দেখে কপি করার মতো ধৈর্য যদি আপনার থাকে, তাহলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন। তবে বাস্তবতা হলো, এ কাজে তুলনামূলকভাবে অর্থ উপার্জনের সুযোগ কম।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

আপনি যদি গুছিয়ে কাজ করতে পারেন আর খুঁটিনাটি বিষয়ে খেয়াল রাখার ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ আপনার জন্য সঠিক হতে পারে। মূলত প্রশাসনিক কাজের জন্য ক্লায়েন্টকে সহায়তা দিতে হবে এ কাজে।

কল সেন্টার

কোন একটি কল সেন্টারের হয়ে আপনাকে কল রিসিভ করতে হবে। এ কাজে সহযোগিতা করার মানসিকতা ও ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারা প্রয়োজন।

গ্রাফিক ডিজাইন

গ্রাফিকস সফটওয়্যার ব্যবহারে দক্ষতা থাকলে এ খাত আপনার জন্য খুব আকর্ষণীয় সুযোগ নিয়ে আসবে। বিজনেস কার্ড, পোস্টার, ব্রোশার বা ওয়েবসাইট/অ্যাপ্লিকেশনের স্ট্যাটিক গ্রাফিক তৈরির কাজ করতে পারবেন।

ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট

টেকনিক্যাল এ কাজগুলোতে উপার্জনের সবচেয়ে ভালো সুযোগ রয়েছে। ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনের ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ করবেন আপনি। তবে এ খাতে কাজ পেতে হলে আপনার পোর্টফোলিও থাকা জরুরি।

ডিজিটাল মার্কেটিং ও অ্যাডভার্টাইজিং

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) থেকে শুরু করে ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজিং – আপনার ক্লায়েন্টের হয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রচারণার কাজের দায়িত্ব পাবেন আপনি। তবে এক্ষেত্রে ভালো কাজ পেতে নির্দিষ্ট কোন কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হতে পারে আপনাকে। যেমন, আপনি ইমেইল মার্কেটিংয়ে ভালো হলেও ফেসবুক স্ট্রাটেজিতে পিছিয়ে থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের কাজ বেছে নিলে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Comment