ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট

বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের বোর্ডিংয়ের আগে ও ফ্লাইট চলাকালে যাত্রীদের সেবা দেবার কাজ করে থাকেন একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বা কেবিন ক্রু। এ পেশায় ভালো উপার্জনের পাশাপাশি রয়েছে দেশ-বিদেশ ঘোরার সুযোগ।

এক নজরে একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট

সাধারণ পদবী: ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, কেবিন ক্রু
বিভাগ: অ্যাভিয়েশন
প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, বেসরকারি
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল-টাইম
লেভেল: এন্ট্রি
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳৩০,০০০ – ৳৫০,০০০
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স: ১৮ – ২৬ বছর
মূল স্কিল: যোগাযোগের দক্ষতা, দলগত কাজে দক্ষতা
বিশেষ স্কিল: মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সামাল দেবার ক্ষমতা

একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কোথায় কাজ করেন?

একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট সরকারি-বেসরকারি এয়ারলাইনসে কাজ করতে পারেন।

অনেকের ধারণা, দেশীয় এয়ারলাইনস কোম্পানি ছাড়া অন্য কোথাও বাংলাদেশের কোন নাগরিক নিয়োগ পান না। ধারণাটি ভুল। সৌদি এয়ারলাইনস, থাই এয়ারলাইন্সসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন এয়ারলাইনসে বাংলাদেশ থেকে এ পেশায় নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।

একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কী ধরনের কাজ করেন?

  • উড়োজাহাজে যাত্রীদের আপ্যায়ন ও অন্যান্য সেবা দেয়া;
  • যাত্রীরা কোন অসুবিধা বা সমস্যা বোধ করলে তার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া;
  • জরুরি মুহূর্তে পাইলটের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা;
  • ডেস্ক জবের ক্ষেত্রে রুটিন সমন্বয়সহ উড়োজাহাজের ক্রু ব্যবস্থাপনার কাজ করা;
  • সিনিয়র পদে উন্নীত হবার পর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণে সহায়তা করা।

একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কমপক্ষে এইচএসসি পাস।

বয়সঃ বয়সসীমা সাধারণত ২০ থেকে ২৬ বছর। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসে নিয়োগের ক্ষেত্রে তা সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে পারে।

অভিজ্ঞতাঃ সাধারণত কোন ধরনের পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। নিয়োগের পর কাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

স্বাস্থ্যগত যোগ্যতাঃ ছেলেদের জন্য সর্বনিম্ন উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি আর মেয়েদের জন্য ৫ ফুট। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের ক্ষেত্রে তা ছেলেদের জন্য ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং মেয়েদের জন্য ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। অন্যদিকে নভোএয়ারের নিয়োগে ছেলেদের জন্য ১৬৮ মিটার ও মেয়েদের জন্য ১৫৮ মিটার উচ্চতা চাওয়া হয়।

ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের চাকরি পেতে সাঁতার জানা আবশ্যক। স্ট্যান্ডার্ড বডি ম্যাস ইনডেক্স (BMI) থাকা কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হতে পারে। এছাড়া পরিষ্কার দৃষ্টিশক্তি থাকা জরুরি। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের ক্ষেত্রে ৬/৬ দৃষ্টিশক্তি থাকা বাধ্যতামূলক।

একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

  • মানসিক চাপ সামলানোর দক্ষতা;
  • দায়িত্বশীলতা;
  • উপস্থিত সমস্যা সমাধানের দক্ষতা;
  • ইংরেজিতে ভালো যোগাযোগ দক্ষতা;
  • ধৈর্যের সাথে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে পারা।

একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের মাসিক আয় কেমন?

এন্ট্রি লেভেলে সাধারণত একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা হয়। তবে ফ্লাইটের সংখ্যার হিসাবের উপর আলাদা সম্মানীর ব্যবস্থা রয়েছে।

একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের পদোন্নতি তার দক্ষতার উপর নির্ভর করে। নিয়োগের শুরুতে ইকোনমি ক্লাস থেকে ধীরে ধীরে বিজনেস ক্লাস অথবা ফার্স্ট ক্লাস হয়ে সিনিয়র ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট অথবা চেক সুপারভাইজার কিংবা ইন ফ্লাইট ম্যানেজার পর্যন্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ফ্লাইটের সংখ্যা ও সিনিয়র অফিসারদের পর্যালোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করবে।

1 thought on “ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট”

Leave a Comment