একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, শৈবাল, ছত্রাকসহ বিভিন্ন অণুজীব নিয়ে গবেষণা করে থাকেন। ঔষধ তৈরির কারখানা থেকে শুরু করে হাসতাপাতালের ল্যাবরেটরিতে এ পেশাজীবীরা কাজ করেন।
এক নজরে একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট
বিভাগ: বায়োলজি, কেমিস্ট্রি
প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল টাইম, চুক্তিভিত্তিক
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে অভিজ্ঞতা সীমা: ১ – ২ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়সসীমা: কাজসাপেক্ষ
মূল স্কিল: গবেষণার দক্ষতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, ল্যাবরেটরি প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা
বিশেষ স্কিল: সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগের দক্ষতা
বিস্তারিত জানুন
– কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট কাজ করেন?
– একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট কী ধরনের কাজ করেন?
– একজন মাইক্রোবায়োলজিস্টের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
– একজন মাইক্রোবায়োলজিস্টের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
– কোথায় পড়বেন মাইক্রোবায়োলজি?
– একজন মাইক্রোবায়োলজিস্টের মাসিক আয় কেমন?
– ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে একজন মাইক্রোবায়োলজিস্টের?
কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট কাজ করেন?
- হাসপাতাল ল্যাবরেটরি
- কেমিক্যাল কারখানা
- টেক্সটাইল কারখানা
- খাধ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান
- ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি
- সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান
একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট কী ধরনের কাজ করেন?
- নতুন নমুনা সংগ্রহ করা;
- বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করা;
- অণুজীবের উৎপাদন পর্যবেক্ষণ করা;
- নতুন টিকা ও ফার্মাসিটিক্যাল পণ্য উৎপাদনের জন্য গবেষণা করা;
- বিদ্যমান টিকা ও ফার্মাসিটিক্যাল পণ্যের মান পরীক্ষা করা;
- গবেষণাপত্র লেখা ও প্রতিবেদন তৈরি করা;
- যাবতীয় গবেষণার রেকর্ড রাখা;
- ল্যাবরেটরির ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
একজন মাইক্রোবায়োলজিস্টের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসাবে কাজ করতে হলে মাইক্রোবায়োলজি/বায়োকেমিস্ট্রিতে এম এস সি/বিএসসি ডিগ্রি থাকা প্রয়োজন। এছাড়া কেমিস্ট্রি বা ফুড টেকনোলজিতে বিএসসি/ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকলেও কাজের সুযোগ পাবেন।
একজন মাইক্রোবায়োলজিস্টের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
ইন্ডাস্ট্রির ভিত্তিতে টেকনিক্যাল জ্ঞানের দরকার হয়। যেমনঃ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে হলে আপনাকে রোগতত্ত্ব নিয়ে ভালো জানতে হবে।
এছাড়া আপনার যেসব দক্ষতা প্রয়োজন, সেগুলো হলোঃ
- গবেষণার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে জানা ও নতুন পদ্ধতির পরিকল্পনা করতে পারা;
- গবেষণার কাজে ব্যবহৃত সফটওয়্যার চালানোর দক্ষতা;
- ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারা;
- দলের সাথে কাজ করার মানসিকতা;
- সমস্যা সমাধান করতে পারা;
- যোগাযোগের দক্ষতা।
কোথায় পড়বেন মাইক্রোবায়োলজি?
আমাদের দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাইক্রোবায়োলজিতে বিএসসি/এমএসসি ডিগ্রি নেবার ব্যবস্থা আছে। যেমনঃ
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
- নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি
- এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি
- প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি
- ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি
একজন মাইক্রোবায়োলজিস্টের মাসিক আয় কেমন?
মাইক্রোবায়োলজিতে পড়াশোনা করে বেকার থাকা বা কাজ না পাওয়ার আশঙ্কা কম। এখানে চাকরি ও বেতন উভয়টি মানসম্পন্ন।
সাধারণত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অনুযায়ী বেতন পাবেন। যারা ফার্মাসিউিটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করেন, তাদের বেতন প্রতিষ্ঠানভেদে ৳২০,০০০ – ৳৯০,০০০ হয়ে থাকে। আবার যারা আইসিডিডিআরবি (icddr, b) বা আইইডিসিআরের (IEDCR) মতো গবেষণা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, তাদের বেতন সাধারণত ২৫ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো। এছাড়া কেমিক্যাল আর ডায়াগনস্টিক রিসার্চ সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানের বেতন অনেক বেশি।
ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে একজন মাইক্রোবায়োলজিস্টের?
সাধারণত রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে এন্ট্রি লেভেলে ক্যারিয়ার শুরু করবেন আপনি। ৪-৫ বছর পর আপনার বিভাগের একজন টিম লিডার হিসাবে উন্নীত হবার সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেকে বড় প্রজেক্টে কনসালট্যান্ট হিসাবেও কাজ করে থাকেন।