যোগাযোগের দক্ষতা বাড়াবেন কীভাবে?

প্রায় সব ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ যে কয়েকটি স্কিল বা দক্ষতা একজন প্রার্থীর কাছ থেকে চাওয়া হয়, তার মধ্যে যোগাযোগের দক্ষতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপরের দিকে থাকে। মৌখিক আর লিখিত – দুই ক্ষেত্রেই এ যোগ্যতা আপনার কাছ থেকে আশা করেন নিয়োগদাতারা। কারণটাও স্বাভাবিক। যোগাযোগে দক্ষ হলে আপনি সহজে অন্যদেরকে নিজের বক্তব্য বোঝাতে পারবেন, যা কাজের অগ্রগতি বাড়াবে। অন্যদিকে আপনি হয়তো অন্যদের চিন্তাভাবনাকেও প্রভাবিত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শুধু কর্মজীবন নয়, বরং সামগ্রিকভাবে আপনার জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে উপকৃত হবেন। কীভাবে বাড়াবেন যোগাযোগের দক্ষতা, তা নিয়ে জানুন এবারের লেখায়।

শোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ভালো যোগাযোগের প্রথম শর্ত হলো ভালো শ্রোতা হওয়া। আপনি যার সাথে কথা বলছেন, তার বক্তব্যের দিকে মনোযোগ দিন। যদি বুঝতে সমস্যা হয়, তাহলে প্রশ্ন করুন। আপনার মনোযোগ দেখে তিনিও কথাবার্তায় আগ্রহ বোধ করবেন।

যার সাথে কথা বলছেন, তার সাথে মিলিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করুন।

সবার সাথে আমরা সব ধরনের কথাবার্তা বলতে পারি না। তাই আপনি যা বলছেন, তা অন্য পক্ষ কীভাবে গ্রহণ করতে পারে, সে ব্যাপারে ধারণা রাখুন। যে বিষয়ে আপনাদের মতাদর্শ সম্পূর্ণ আলাদা, সে বিষয় যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। এমন কোন বিষয় চলে আসলে তাকে নিজের মতামত প্রকাশ করার সুযোগ করে দিন। এক্ষেত্রে ধৈর্য আর ভিন্ন মত বিবেচনা করার মতো মানসিকতা থাকা জরুরি।

পরিষ্কার ও স্পষ্টভাবে কথা বলুন।

যেকোন কথাবার্তার ক্ষেত্রে আপনার মূল বক্তব্যকে সহজ ভাষায় তুলে ধরুন। অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। এটি উভয় পক্ষের জন্য সুবিধাজনক।

বলার বা লেখার আগে চিন্তা করে নিন।

“ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।” – প্রবাদের জন্ম এমনিতেই হয় নি। যেকোন কিছু বলার বা লেখার আগে চিন্তা করুন এর প্রভাব সম্পর্কে। যদি নেতিবাচক কোন কিছু বলার থাকে, এক্ষেত্রে উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্য আপনি প্রস্তুত কি?

কম কথায় বক্তব্য উপস্থাপনের চেষ্টা করুন।

এ কাজটি কঠিন। তবে আপনার মূল বক্তব্যকে নির্দিষ্ট পয়েন্টে ভাগ করে নিলে সুবিধা পাবেন।

ইতিবাচক মনোভাব রাখুন।

কথাবার্তার সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিন। আন্তরিক হাসি হাসুন (যান্ত্রিক হাসি নয়)। এতে করে অন্য পক্ষ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।

কথা বলার আর লেখার চর্চা চালিয়ে যান।

নিয়মিত মানুষের সাথে আন্তরিকভাবে কথা বলুন। ভালো প্রেজেন্টেশন দেবার অভ্যাস করুন। এমনকি ইমেইল লেখার বেলাতেও সচেতন হোন।

Leave a Comment