সোয়িং সুপারভাইজার

একজন সিউয়িং সুপারভাইজার কোথায় কাজ করেন?

সিউয়িং সুপারভাইজার সাধারণত গার্মেন্টস বা আরএমজি ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়োজিত থাকেন। সেলাই মেশিন বা রেডিমেড গার্মেন্টসের মেশিন চালনার কাজ পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব অর্পিত থাকে একজন সিউয়িং সুপারভাইজারের হাতে। তৈরি পোশাক শিল্প ছাড়া অন্য কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে সিউয়িং বা সেলাই মেশিনের কোন কাজ না থাকায় তৈরি পোশাক শিল্প ছাড়া অন্য কোথাও সিউয়িং সুপারভাইজার পদটি দেখা যায় না।

একজন সিউয়িং সুপারভাইজার কী ধরনের কাজ করেন?

একজন সিউয়িং সুপারভাইজার সাধারণত নিম্নে উল্লিখিত কাজগুলো করে থাকেন –

১। মেশিনের সিউয়িং লাইন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে হয়ে একজন সিউয়িং সুপারভাইজারকে। এক্ষেত্রে একজন সিউয়িং সুপারভাইজারকে সাধারণত একসাথে ৪০ থেকে ৫০টি মেশিনের সিউয়িং লাইন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে হয়।

২। সিউয়িং বা সেলাই মেশিন পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্মীদের কাজ পর্যবেক্ষণ করা

৩। সিউয়িং বা সেলাই মেশিনের সমস্যা আছে কিনা সে ব্যাপারে দেখভাল করা এবং সমস্যা থাকলে তা কর্তৃপক্ষকে অবগত করার দায়িত্ব পালন করা

একজন সিউয়িং সুপারভাইজারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

১। সিউয়িং সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতে চাইলে আপনাকে ন্যূনতম এইচএসসি বা উচ্চমাধ্যমিক পাস হতে হবে।

২। সিউয়িং সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতে চাইলে অভিজ্ঞতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সাধারণত ৩ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তিদের সিউয়িং সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে বিষয়টি কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ। কিছু ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৯ বছরের অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগের ব্যাপারে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকতে পারে।

৩। সিউয়িং সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতে চাইলে সাধারণত নির্দিষ্ট বয়সসীমা উল্লেখ করা থাকে। ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের সাধারণত নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে এক্ষেত্রে। ৩৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের সাধারণত নিয়োগ দেওয়া হয় না। তবে বিষয়টি কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ।

৪। লিঙ্গের বিষয়টি কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ। সাধারণত এ ব্যাপারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কিছু উল্লেখ করা থাকে না।

একজন সিউয়িং সুপারভাইজারের মাসিক আয় কেমন?

এক্ষেত্রে বিষয়টি কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ হলেও একজন সিউয়িং সুপারভাইজারের মাসিক আয় সাধারণত পনের হাজার টাকা থেকে বিশ হাজার টাকার মধ্যে হয়।

 

1 thought on “সোয়িং সুপারভাইজার”

Leave a Comment