কার্ডিয়াক নার্স

অনেকেই মানুষের সেবামূলক কাজে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান। এমনই এক সেবামূলক পেশা নার্সিং। যেসব নার্স হৃদরোগীদের সেবার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত তাদেরকে বলা হয় কার্ডিয়াক নার্স। একজন কার্ডিয়াক নার্সকে হৃদরোগীর সার্বক্ষণিক সেবার জন্য উপস্থিত থাকতে হয়। হৃদরোগের বিভিন্ন খুটিনাটি নিয়েও জ্ঞান রাখতে হয়।

এক নজরে একজন কার্ডিয়াক নার্স

সাধারণ পদবী:কার্ডিয়াক নার্স (অ্যাসিস্ট্যান্ট নার্স, জুনিয়র নার্স, স্টাফ নার্স, সিনিয়র স্টাফ নার্স, ওটি সিস্টার)
বিভাগ:নার্সিং
প্রতিষ্ঠানের ধরন:সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্রের কার্ডিয়াক বিভাগ
ক্যারিয়ারের ধরন:ফুল টাইম
লেভেল:এন্ট্রি/মিড
অভিজ্ঞতা সীমা:অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১-২ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের সদস্যতা পেতে ৬ মাসের ইন্টার্নশীপ বাধ্যতামূলক
সম্ভাব্য বেতনসীমা:শুরুতেই একজন নার্সকে ২০০৯ সালের বেতনক্রম অনুযায়ী ৮০০০-১৬৫৪০ টাকা স্কেলে বেতন দেওয়া হয়। দ্বিতীয় গ্রেডের সরকারি সিনিয়র স্টাফ নার্সদের বেতন ১৬০০০- ৩৮৬৮০ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে একজন নার্স ১০০০০ থেকে ২০০০০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু করতে পারেন
সম্ভাব্য বয়সসীমা:২২-৩৬ বছর। তবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে বাধাধরা বয়স নেই
লিঙ্গ:নার্সিংয়ে মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও এখন পুরুষরাও ধীরে ধীরে এই পেশায় আসছে। শুধু ৬টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-সংলগ্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটে (মিটফোর্ড, ঢাকা, খুলনা, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও দিনাজপুর) মোট আসনসংখ্যার অনধিক ১০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থী কর্তৃক পূরণ করা হয়। ফলে পুরুষরা নার্সিংয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে
মূল স্কিল:হৃদরোগ নিয়ে ধারণা রাখতে হবে, হৃদরোগের চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল ডিভাইস সম্পর্কে জানতে হবে ,হৃদরোগীর সেবার বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে
বিশেষ স্কিল:প্রচুর পরিশ্রমী হতে হবে,সময়ানুবর্তি হতে হবে, যত্নবান হতে হবে, জরুরী অবস্থায় তাৎক্ষণিক উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।