ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্ট

বাংলাদেশের পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে আজকের যুগে একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্টের কাজ বিস্তর। অর্থনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে গবেষণা করে একটি পরিপূর্ণ মার্কেট স্ট্র্যাটেজি দাঁড় করানোর কাজটুকুই করেন একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্ট।

সাধারণ পদবী: ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্ট

বিভাগ: ক্যাপিটাল মার্কেট

প্রতিষ্ঠানের ধরন: সাধারণত প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি

ক্যারিয়ারের ধরন: ফু্ল-টাইম

লেভেল: এন্ট্রি/ মিড

অভিজ্ঞতা সীমা: সাধারণত ১/২ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন

সম্ভাব্য বেতন সীমা: ৩০,০০০ থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে

সম্ভাব্য বয়স সীমা: ৩০ বছর

মূল স্কিল: ব্যবসায়িক সমাধান দিতে পারা, ক্লায়েন্টদের স্ট্র্যাটেজিক ডিরেকশন দেয়ার ক্ষমতা।

বিশেষ স্কিল: সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করতে পারা, সৃজনশীল চিন্তা করার ক্ষমতা।

কোন ধরনের শিল্প বা ইন্ডাস্ট্রিতে একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্ট কাজ করেন?

একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্ট সাধারণত বিভিন্নরকম ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম, ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফার্ম বা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করে থাকেন।

একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্ট কী ধরনের কাজ করেন?

একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্ট কোম্পানিকে ইনভেস্টরদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলেন। ফিন্যান্সিয়াল রিসার্চের মাধ্যমে মার্কেটের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিশ্লেষণ করাই এ পদটির মূল কাজ। একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্টই সর্বপ্রথম শেয়ার বাজারের অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে শেয়ারের দামের পতন সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারেন।

একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্টের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

সোশ্যাল ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে হলে অবশ্যই ফিন্যান্স, বিজনেস বা অ্যাকাউন্টিংয়ের মত বিষয়ের ওপর ব্যাচেলর্স ডিগ্রী থাকা আবশ্যক। তবে অনেক জায়গায় মাস্টার্স ডিগ্রীও চাওয়া হয়। ক্যাপিটাল মার্কেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা লাগবে। এছাড়াও গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগের জন্য ইংরেজি ভালোমত জানা লাগবে।

একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্টের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

– ইংরেজি ভাষার ওপরে ভালো দখল থাকতে হবে।

– সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ, উন্নয়ন ও টার্গেট এস্টিমেশনের দক্ষতা থাকা লাগবে।

– কোম্পানির পণ্য বা সেবার প্রসারের জন্য অ্যাডভারটাইজমেন্ট প্ল্যানিং করা লাগবে।

– মার্কেট রিসার্চের ক্ষমতা থাকা লাগবে।

– অ্যানালিটিকাল সফটওয়্যার এর ওপর জ্ঞান থাকা লাগবে।

– ক্লায়েন্টদের অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট করে দেয়ার দক্ষতা থাকা লাগবে।

কোথায় পড়বেন?

এ পেশায় আসতে হলে মার্কেটিং, ফিন্যান্স, বিজনেস বা অ্যাকাউন্টিং, অথবা এগুলোর সাথে রিলেটেড বিষয়ের ওপর ব্যাচেলর্স ডিগ্রী লাগবে। বাংলাদেশের প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই এ বিষয়গুলোর ওপর পড়াশোনা করানো হয়। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ক্যাপিটাল মার্কেট (BICM) এর মত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যাপিটাল মার্কেটের বিভিন্ন সেকশনের ওপর বিভিন্ন মেয়াদের ট্রেনিং দেয়া হয়। এ কোর্সগুলো করা থাকলে ক্যাপিটাল মার্কেট সম্পর্কে জানাটা আরও সোজা হয়ে যাবে।

একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্টের কাজের ক্ষেত্র ও সুযোগ কেমন?

বাংলাদেশে বর্তমানে ভেঞ্চুরি ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার্স, সি এ পি এম বা এল আর গ্লোবালের মত বড় বড় ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফার্ম রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং ফার্ম। এছাড়া ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজরি ফার্মেও রয়েছে ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্টদের কাজের সুযোগ। বাংলাদেশে রয়েছে দুইটি স্টক এক্সচেঞ্জ। প্রতি বছরই সেখানেও ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্ট নিয়োগ দেয়া হয়।

একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্টের মাসিক আয় কেমন?

সাধারণত স্টার্টিং স্যালারি ২৫ থেকে ৩০ হাজারের ভেতর হয়ে থাকে। তবে অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকলে লাখের উপরেও আয় করা সম্ভব। বিদেশে এ পেশার কদর আরও বেশি। বিদেশে চাকরির সুযোগ পেলে মাসে ৬,০০০ থেকে ৮,০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্টের?

একজন ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যানালিস্ট হিসেবে রিসার্চের মাধ্যমে মার্কেটের উত্থান-পতন সম্পর্কে আগেই জানা যায়। তাই এ পেশায় থাকলে নিজের ব্যবসা শুরু করা অনেকটা সোজা। এছাড়াও বাংলাদেশে এখন ফিন্যান্সিয়াল ও ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট অ্যাভাইজরি ফার্মের চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়াও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং ও ব্যাংকিং রিসার্চ সম্পর্কিত যেকোন প্রতিষ্ঠানে এ পদটির চাহিদা অনেক বেশি।

Leave a Comment