বাড়ি থেকে কাজ বা চাকরি করার ব্যাপার আমাদের দেশে তুলনামূলকভাবে নতুন। সাধারণত ফ্রিল্যান্সার ও বিদেশী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা মানুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো এ চর্চা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এখন দেশের বহু প্রতিষ্ঠান কর্মীদেরকে বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পরও হয়তো বেশ কিছু চাকরির ক্ষেত্রে এ সুযোগ থাকবে। বাড়ি থেকে কাজ করা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য জানুন এ লেখার মাধ্যমে। উল্লেখ্য যে, এখানে ফ্রিল্যান্সিং বা বিদেশী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার ব্যাপারে কোন তথ্য দেয়া হচ্ছে না। বরং পরিচিত কয়েকটি এন্ট্রি লেভেলের চাকরির ব্যাপারে কথা বলছি আমরা।
লেখাটি পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন ‘Kormo’ অ্যাপের সৌজন্যে। উল্লেখ্য যে, অ্যাপটি বর্তমানে ইনঅ্যাক্টিভ।
বাড়ি থেকে কোন ধরনের চাকরি করা সম্ভব?
যেসব কাজ করার জন্য সরাসরি শারীরিক পরিশ্রমের উপর কম নির্ভর করতে হয়, সেসব কাজ সাধারণত বাড়ি থেকে করা সম্ভব। এ ধরনের পেশাজীবীদের মধ্যে রয়েছেনঃ
- গ্রাফিক ডিজাইনার
- ভিডিও এডিটর
- ওয়েব ডিজাইনার
- ওয়েব ও সফটওয়্যার ডেভেলপার
- কপিরাইটার ও কন্টেন্ট ডেভেলপার
- ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েট
- কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ
- কল সেন্টার অ্যাসিস্ট্যান্ট
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- ডেটা এন্ট্রি অপারেটর
- স্ক্রাইব
বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা-অসুবিধা কী কী?
সুবিধা
- যাতায়াতের সময় বাঁচে।
- বাড়ির পরিবেশে স্বচ্ছন্দ থাকা সহজ।
- বাইরে বের হবার দুশ্চিন্তা থাকে না।
- নিজের মতো কাজের পরিবেশ বানানো সম্ভব।
- বিশ্রামের সুযোগ পাওয়া যায়।
অসুবিধা
- শুরুতে কাজের সাথে খাপ খাওয়ানো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
- অফিসের সহকর্মীদের সাথে সরাসরি কাজ করার সুযোগ কমে যায়।
- কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ অফিস সময়ের চেয়েও বেশি কাজ করতে হয়।
- আপনার কাজের পারফরম্যান্স নিয়ে অন্যরা সন্দিহান থাকতে পারেন।
বাড়ি থেকে কাজ করবেন কীভাবে?
- পুরো ব্যাপারটি পেশাদারি মনোভাবের সাথে দেখুন।
- অফিসে যেতে হলে ঠিক যেভাবে শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নিতেন, বাসায় কাজ করার বেলাতেও তেমন প্রস্তুতি নিন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান ও ভোরে ওঠার অভ্যাস করুন।
- আপনার মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাবে না এমন কোন জায়গা বেছে নিন।
- কাজের জন্য বাছাই করা জায়গা ঠিকভাবে গোছান ও পরিষ্কার রাখুন। ডেস্ক, চেয়ার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাজিয়ে নিন।
- বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ থাকা শ্রেয়। তাই ভালো ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে সংযোগ নিন।
- কাজ করার জন্য অফিস থেকে নির্ধারিত অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ব্যবহার যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি শিখে ফেলুন। কাজের ধরনের উপর অ্যাপ্লিকেশন আলাদা হতে পারে। যেমনঃ অনলাইন মিটিংয়ের জন্য Zoom, Skype ও Google Meet ব্যবহৃত হয়।
- কাজের মনোভাব নিয়ে আসতে প্রয়োজনে অফিস যাবার পোশাক পরুন। বিশেষ করে অনলাইন মিটিং করতে হলে অবশ্যই পরিষ্কার পোশাক বেছে নেবেন।
- অফিস নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করুন। এ ব্যাপারে গাফিলতি করবেন না।
- কাজের সময় ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে লগ আউট করুন। অথবা, ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন।
- বাড়িতে পরিবারের অন্যান্য সদস্য থাকলে তাদেরকে আপনার কাজের ব্যাপারে আগে থেকে জানান।
- কাজ নিয়ে বস ও সহকর্মীদের সাথে নিয়মিত খোলাখুলি আলোচনা করুন। তাহলে আপনার কাজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্দিহান হবার সুযোগ কম থাকবে।
- চা-নাস্তা আর দুপুরের খাবারের আগাম বন্দোবস্ত করে রাখুন।
- কাজে একঘেয়েমি এসে গেলে আপনার বস বা সুপারভাইজারের অনুমতি নিয়ে ১০-১৫ মিনিটের বিরতি নিতে পারেন। তবে বিরতির সংখ্যা যথাসম্ভব কম রাখুন। নাহলে আপনার দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
- দিনের কাজ দিনে শেষ করুন।
i am ready work.
Valo e mone holo..ami job korte chi..akhne
এই তথ্যটি খুব ভালো লেগেছে।
I want this job