বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশা একটি সম্মানজনক ও চ্যালেঞ্জিং পেশা। এই পেশায় কর্মরত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নির্দিষ্ট কোর্সে পাঠদান, পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন গ্রহণ, খাতা দেখা ও নম্বর বণ্টন ইত্যাদি কাজ করতে হয়। শিক্ষাজীবনে ভালো ফলাফল থাকলে এবং নিজ বিষয়ে পাঠদানের আগ্রহ থাকলে এই পেশায় যুক্ত হয়ে আপনার ভবিষ্যৎ গড়ে নিতে পারেন।

এক নজরে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

সাধারণ পদবী:বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক
বিভাগ:শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের ধরন:সরকারি/ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যারিয়ারের ধরন:পার্ট টাইম/ ফুল টাইম
লেভেল:মিড
অভিজ্ঞতা সীমা:কাজের ধরন ও প্রতিষ্ঠান সাপেক্ষে
সম্ভাব্য বেতনসীমা:২০,০০০ থেকে শুরু, কাজের ধরন ও প্রতিষ্ঠান সাপেক্ষে ৪০,০০০-৫০,০০০ হতে পারে
সম্ভাব্য বয়সসীমা:২৫ বা উর্ধ্বে
মূল স্কিল:শিক্ষকতা
বিশেষ স্কিল:গবেষণা দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতা

কোন ধরণের প্রতিষ্ঠানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কাজ করেন?

  • সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়;
  • বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়;

একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কী ধরনের কাজ করেন?

  • যে বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি আছে সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো;
  • সংশ্লিষ্ট কোর্সের প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া;
  • কোর্সের ক্লাসের লেকচার পরিকল্পনা, প্রস্তুতি এবং গবেষণা;
  • ছাত্রদের কোর্সওয়ার্ক ও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন;
  • পরীক্ষা পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা;
  • স্টাফ মিটিংয়ে অংশগ্রহণ;
  • গবেষণাপত্র পড়া ও নিজ গবেষণাপত্র লিখে জার্নালে প্রকাশ করা;
  • কনফারেন্স ও সেমিনারে অংশগ্রহণ ইত্যাদি;

একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

শিক্ষকতার সর্বোচ্চ পর্যায় হল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলেন স্কলার। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাইলে অবশ্যই শিক্ষাজীবনে ভালো ফলাফল দরকার হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে খুব ভালো ফলাফলধারীদের জন্য এটি একটি পছন্দনীয় পেশা হতে পারে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়রাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পাশাপাশি এমফিল, পিএইচডি ধারীরা সহজে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক হতে পারেন।

একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

ভালো ফলাফল ও উচ্চতর ডিগ্রির পাশাপাশি একজন শিক্ষকের যে ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা উচিত সেগুলো হলঃ

  • আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব;
  • প্রশ্ন তৈরি এবং উত্তরপত্র মূল্যায়নে নির্ভুলতা;
  • গবেষণা বিষয়ক দক্ষতা;
  • প্রেজেন্টেশনে দক্ষতা;
  • লিখিত ও মৌখিক যোগাযোগে দক্ষতা;
  • বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় পরিপূর্ণ দখল;
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভালো জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা;

একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হতে চাইলে কোথা থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেবেন?

এই পেশার জন্য ভালো ফলাফল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শেষ হবার পর বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে সিভি পাঠালে আপনার ফলাফল অনুযায়ী ইন্টারভিউ এবং মক- ক্লাস নেবার জন্য ডাকা হবে। যেহেতু শিক্ষাজীবনের ফলাফলের ভিত্তিতেই প্রার্থী বাছাই করা হয়, সেহেতু শুরুতেই কোন বাড়তি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।

একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মাসিক আয় কেমন?

লেকচারার হিসেবে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মাসিক আয় ২০,০০০ থেকে শুরু হতে পারে। অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে সিনিয়র লেকচারার, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, অ্যাসোশিয়েট প্রফেসর, প্রফেসর ইত্যাদি পদে পদোন্নতির ভালো সুযোগ আছে, সেই সাথে বাড়বে আপনার সম্মানীর পরিমাণ। এই সম্মানজনক পেশায় আজীবন শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাশাপাশি সহজেই ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করার সম্ভব।

ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের?

শিক্ষকতার পেশা একই সাথে একটি সম্মানজনক ও চ্যালেঞ্জিং পেশা। শিক্ষাদান একজন শিক্ষকের মহান ব্রত। আর সর্বোচ্চ শিক্ষাপীঠ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের পেশার একটি অনন্য মর্যাদা রয়েছে। পড়াশোনা ও গবেষণার প্রতি আগ্রহী হলে এই পেশায় ক্যারিয়ার গড়ে আপনি একটি ভালো অবস্থানে যেতে পারেন। ভালো ফলাফল, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভালো দখল ও জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা হতে পারে আপনার ভবিষ্যৎ পেশা।

Leave a Comment