কীভাবে দোকান খুলবেন?

ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ হলো দোকান। এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু ভালো ব্যবসায়িক জ্ঞান, পরিকল্পনা আর ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ঠিকভাবে পণ্য সরবরাহ করতে পারলে দোকান চালানোর মাধ্যমে আর্থিকভাবে আপনিও লাভবান হতে পারবেন। কীভাবে দোকান খুলবেন, সে ব্যাপারে জানুন এবারের লেখা থেকে।

১. প্রয়োজনীয় পুঁজি সংগ্রহ করুন।

আপনার দোকানে কী কী বিক্রি করবেন, তার একটা খসড়া তালিকা হয়তো ইতোমধ্যে আপনি তৈরি করে ফেলেছেন। নিজের জমানো টাকা, পারিবারিক সাহায্য আর ব্যাংক লোন – প্রয়োজন অনুযায়ী এক বা একাধিক মাধ্যম থেকে পুঁজি জোগাড় করতে পারেন। যেহেতু এটি এক ধরনের ঝুঁকি, সেহেতু সাবধানতা অবলম্বন করা শ্রেয়। ভবিষ্যতে ঋণ শোধ করার মতো সামর্থ্য আপনার আছে কি না, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। অন্যথায় আইনি ও অর্থনৈতিক ঝামেলায় পড়তে পারেন।

২. রেজিস্ট্রেশন ও ট্রেড লাইসেন্স নিন।

নিজের দোকানের জন্য ভালো একটি নাম ঠিক করুন। নিজের নাম বা পছন্দের আত্মীয়স্বজনের নাম ব্যবহারেও সমস্যা নেই। উদ্ভট বা আক্রমণাত্মক নাম এড়িয়ে চলুন। এরপর দোকানের রেজিস্ট্রেশন করান ও সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করুন। সাধারণত দুই সপ্তাহের মধ্যে লাইসেন্স পাওয়ার কথা। তবে মাঝে মাঝে এর বেশি সময় লাগতে পারে।

৩. দোকানের জন্য ভালো জায়গা নির্বাচন করুন।

সহজে ক্রেতাদের চোখে পড়ে আর যাতায়াতে সমস্যা না হয়, এমন কোন জায়গা বেছে নিন নিজের দোকানের জন্য। পুঁজির পরিমাণ বড় হলে ভালো জায়গায় প্লট নিতে পারবেন।

৪. ক্রেতাদের চাহিদার দিকে নজর দিন।

আপনার দোকানে সাধারণত কোন ধরনের ক্রেতারা আসেন ও কী কেনাকাটা করেন, তার যথার্থ হিসাব রাখুন। এতে করে আপনি পণ্যের চাহিদা ও ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন। এ ধারণাকে নিজের ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় ব্যবহার করুন। এছাড়া আশেপাশের দোকানগুলোতে কোন দামের ও মানের একই পণ্য বিক্রি হয়, তার খোঁজ নিন। এতে করে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা নিয়ে সচেতন থাকতে পারবেন।

ক্রেতাদের আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে যদি আপনি মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করতে পারেন, তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে দোকানের লাভ নিশ্চিত করা সম্ভব। ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলে আপনিও হয়ে উঠবেন সফল একজন উদ্যোক্তা।

প্রয়োজনীয় তথ্য

Leave a Comment