ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর

একজন ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর একটি প্রতিষ্ঠানের সকল ডেটার রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করে থাকেন।

এক নজরে একজন ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর

সাধারণ পদবী: ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর
বিভাগ: তথ্যপ্রযুক্তি
প্রতিষ্ঠানের ধরন:সরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল টাইম, চুক্তিভিত্তিক
লেভেল: মিড
মিড লেভেলে সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: ২ – ৩ বছর
মিড লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳৩০,০০০ – ৳৪০,০০০
মিড লেভেলে সম্ভাব্য বয়স: ২৬ – ৩৫ বছর
মূল স্কিল: ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা, রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে দক্ষতা, সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা, ব্যবস্থাপনা
বিশেষ স্কিল: সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা, সময় ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগের দক্ষতা

একজন ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কোথায় কাজ করেন?

  • সরকারি প্রতিষ্ঠানে বা প্রজেক্টে, যেমনঃ সরকারি ডেটা ম্যানেজমেন্ট খাতে
  • বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, যেমনঃ এনজিওর ডেটা ম্যানেজমেন্ট খাতে
  • ব্যাংক ও আর্থিক সেবার প্রতিষ্ঠানে
  • আইটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে
  • আউটসোর্সিং ফার্মে

একজন ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের কাজ কী?

  • প্রতিষ্ঠানের জন্য ডেটাবেজ তৈরি করা
  • বিদ্যমান ডেটাবেজ আপডেট করা
  • ডেটাবেজ সংরক্ষণ করা
  • ডেটাবেজের ব্যবহার তদারকি করা
  • ডেটাবেজের নিরাপত্তা নিয়মিত যাচাই করা
  • ডেটাবেজে সমস্যা থাকলে তার সমাধান করা
  • ডেটাবেজের উপর রিপোর্ট তৈরি করা
  • আইটি ম্যানেজার ও ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা

একজন ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারীদের চাওয়া হয়। এছাড়া কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়, ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠান হতে অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি অথবা ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকলেও এ পদের জন্য আবেদন করা যায়।

বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। সাধারণত তা ২৫ থেকে ৩৫ বছর।

অভিজ্ঞতাঃ এ পেশায় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য রয়েছে। সাধারণত ২-৩ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে আসে।

একজন ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

  • ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা
  • রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে দক্ষতা (যেমনঃ Microsoft SQL Server বা MySQL)
  • সার্ভার, নেটওয়ার্কিং ও অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কিত জ্ঞান
  • খুঁটিনাটি বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারা
  • ধৈর্যের সাথে মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা
  • অটোমেশন কনফিগারেশন নিয়ে কাজ করা

ডেটাবেজ নিয়ে কোথায় পড়বেন?

বাংলাদেশের সরকারী বেসরকারী অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হয়। যেমনঃ

  • বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (BUET)
  • শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (SUST)
  • রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (RUET)
  • চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (CUET)
  • নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
  • ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
  • আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (AUST)

একজন ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের মাসিক আয় কেমন?

ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের বেতন প্রতিষ্ঠানেভেদে আলাদা। তবে ২-৩ বছর জুনিয়র ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে মাসিক বেতন ৳৩০,০০০ – ৳৪০,০০০ হয়ে থাকে। ৬-১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে মাসিক বেতন লাখ টাকার উপরে হয়ে থাকে।

একজন ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

এন্ট্রি লেভেলে আপনার ক্যারিয়ার শুরু হবে জুনিয়র ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে। সাধারণত ৫ বছরের মধ্যে ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের পদ পাবেন। নিজের কাজে দক্ষ হলে ১৫-২০ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগের প্রধান পদে নিযুক্ত হবার সুযোগ রয়েছে।

3 thoughts on “ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর”

  1. Please give me a advice, I have more than 9 years experience in garments/apparel operation/merchandising section. now I want to convert my career as a supply chain department as a Data base administrator. My education background Masters of Business Studies from Dhaka College. Also my Management want to transfer me to supply chain department.

    Reply

Leave a Comment